অব্যক্ত

80

লেখক   জগদীশচন্দ্র বসু      প্রকাশক   বাউলমন        বোর্ড বাঁধাই

জগদীশ বসুর  প্রবন্ধের একটি সংকলন…. বিজ্ঞান, সাহিত্য, দর্শন এবং জীবনের বিভিন্ন দিক এই মণীষার চিন্তা ভাবনা ধরা রয়েছে  এখানে । জীবন ও প্রকৃতি, শব্দ ও আলো, বেতার বার্তা প্রেরক যন্ত্র ও উদ্ভিদের প্রাণের স্পন্দন আবিষ্কারের কথা, অদৃশ্য আলোক, আহত উদ্ভিদ, ভাগীরথীর উৎস  সন্ধানে…মোট   কুড়িটি প্রবন্ধ এখানে আছে

সব বাঙালীর অবশ্যই একবার পড়ে দেখা উচিত ‘অব্যক্ত’

 “অব্যক্তে”র মুখবন্ধে উনি লিখেছেন-

ভিতর ও বাহিরের উত্তেজনায় জীব কখনও কলরব কখনও আর্তনাদ করিয়া থাকে। মানুষ মাতৃক্রোড়ে যে ভাষা শিক্ষা করে সেই ভাষাতেই সে আপনার সুখ-দুঃখ জ্ঞাপন করে। প্রায় ত্রিশ বৎসর পূর্ব্বে আমার বৈজ্ঞানিক ও অন্যান্য কয়েকটি প্রবন্ধ মাতৃভাষাতেই লিখিত হইয়াছিল। তাহার পর বিদ্যুৎ-তরঙ্গ ও জীবন সম্বন্ধে অনুসন্ধান আরম্ভ করিয়াছিলাম এবং সেই উপলক্ষ্যে বিবিধ মামলা-মোকদ্দমায় জড়িত হইয়াছি। এ বিষয়ের আদালত বিদেশে; সেখানে বাদ প্রতিবাদ কেবল ইয়োরোপীয় ভাষাতেই গৃহীত হইয়া থাকে। এদেশেও প্রিভি-কাউন্সেলের রায় না পাওয়া পর্য্যন্ত কোন মোকদ্দমার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি

হয় না।

জাতীয় জীবনের পক্ষে ইহা অপেক্ষা অপমান আর কি হইতে পারে ? ইহার প্রতিকারের জন্য এদেশে বৈজ্ঞানিক আদালত স্থাপনের চেষ্টা করিয়াছি। ফল হয় ত এই জীবনে দেখিব না। প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান-মন্দিরের ভবিষ্যৎ বিধাতার হস্তে !...”

or
১৮৯৪ সালের নভেম্বর মাস –কলকাতার টাউন হলে, জগদীশ বসু, তার হাতে তৈরী যন্ত্র দিয়ে – বেতার যোগাযোগ , প্রদর্শণ করে দেখালেন।অর্থাৎ বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে , তথ্যের আদান প্রদান করলেন।
বিশ্বের ইতিহাসে সেই প্রথম এরকম ঘটল।
বেতার যোগাযোগের তিনিই পথিকৃত

এরপরে,জগদীশ বসু বেতার তরঙ্গের গবেষণা ছেড়ে , গাছপালা নিয়ে তার কাজ ভাবনা শুরু করেন। ্তার এই কাজের মূল লক্ষ্য ছিল প্রাণী ও উদ্ভিদের জীবনের মধ্যে কতটা প্রভেদ আর কতটা মিল আছে , তা খুঁজে বার করা । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে লেখা , জগদীশ বসুর একটি চিঠি এই রকম-

Royal Institution of Great Britain
৮ই নবেম্বর ১৯০১
বন্ধু
…কতদিন হইল আমার এক বক্তৃতার সময় বলিয়াছিলাম যে – There is absolutely a continuity of phenomena starting from the animal tissue , passing through the trasitional vegetable , to the inorganic metal . You can not draw a dividing line…
তোমার জগদীশ
গাছেদের এইসব গুণাগুণ মাপজোপ করার জন্য
জগদীশ বসু নিজেই আশ্চর্য রকমের সূক্ষ আর অতি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন , বহু যন্ত্র আবিস্কার করেনএবং নিজের গবেষণায় সাফল্য লাভ করেন । তাঁর তৈরী নানা যন্ত্র সেই যুগের বিস্ময় ।
এমন মণীষার বৈজ্ঞানিক কাজকর্মের কথা , আমাদের মত সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা হয়ত কঠিন।
কিন্তু তার এই কাজের বাইরে বহু লেখা আছে – ভাবনা আছে – সেগুলিআমাদের মত মানুষেরা পড়তে পারি।
যেমন ওনার লেখা ‘অব্যক্ত’ বইটি।

Reviews

There are no reviews yet

Be the first to review “অব্যক্ত”

Your email address will not be published. Required fields are marked

Questions and Answers

You are not logged in