এরপরে,জগদীশ বসু বেতার তরঙ্গের গবেষণা ছেড়ে , গাছপালা নিয়ে তার কাজ ভাবনা শুরু করেন। ্তার এই কাজের মূল লক্ষ্য ছিল প্রাণী ও উদ্ভিদের জীবনের মধ্যে কতটা প্রভেদ আর কতটা মিল আছে , তা খুঁজে বার করা । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে লেখা , জগদীশ বসুর একটি চিঠি এই রকম-
₹80
জগদীশ বসুর প্রবন্ধের একটি সংকলন…. বিজ্ঞান, সাহিত্য, দর্শন এবং জীবনের বিভিন্ন দিক এই মণীষার চিন্তা ভাবনা ধরা রয়েছে এখানে । জীবন ও প্রকৃতি, শব্দ ও আলো, বেতার বার্তা প্রেরক যন্ত্র ও উদ্ভিদের প্রাণের স্পন্দন আবিষ্কারের কথা, অদৃশ্য আলোক, আহত উদ্ভিদ, ভাগীরথীর উৎস সন্ধানে…মোট কুড়িটি প্রবন্ধ এখানে আছে
সব বাঙালীর অবশ্যই একবার পড়ে দেখা উচিত ‘অব্যক্ত’
“অব্যক্তে”র মুখবন্ধে উনি লিখেছেন-
“ভিতর ও বাহিরের উত্তেজনায় জীব কখনও কলরব কখনও আর্তনাদ করিয়া থাকে। মানুষ মাতৃক্রোড়ে যে ভাষা শিক্ষা করে সেই ভাষাতেই সে আপনার সুখ-দুঃখ জ্ঞাপন করে। প্রায় ত্রিশ বৎসর পূর্ব্বে আমার বৈজ্ঞানিক ও অন্যান্য কয়েকটি প্রবন্ধ মাতৃভাষাতেই লিখিত হইয়াছিল। তাহার পর বিদ্যুৎ-তরঙ্গ ও জীবন সম্বন্ধে অনুসন্ধান আরম্ভ করিয়াছিলাম এবং সেই উপলক্ষ্যে বিবিধ মামলা-মোকদ্দমায় জড়িত হইয়াছি। এ বিষয়ের আদালত বিদেশে; সেখানে বাদ প্রতিবাদ কেবল ইয়োরোপীয় ভাষাতেই গৃহীত হইয়া থাকে। এদেশেও প্রিভি-কাউন্সেলের রায় না পাওয়া পর্য্যন্ত কোন মোকদ্দমার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি
হয় না।
জাতীয় জীবনের পক্ষে ইহা অপেক্ষা অপমান আর কি হইতে পারে ? ইহার প্রতিকারের জন্য এদেশে বৈজ্ঞানিক আদালত স্থাপনের চেষ্টা করিয়াছি। ফল হয় ত এই জীবনে দেখিব না। প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান-মন্দিরের ভবিষ্যৎ বিধাতার হস্তে !...”
এরপরে,জগদীশ বসু বেতার তরঙ্গের গবেষণা ছেড়ে , গাছপালা নিয়ে তার কাজ ভাবনা শুরু করেন। ্তার এই কাজের মূল লক্ষ্য ছিল প্রাণী ও উদ্ভিদের জীবনের মধ্যে কতটা প্রভেদ আর কতটা মিল আছে , তা খুঁজে বার করা । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে লেখা , জগদীশ বসুর একটি চিঠি এই রকম-
You are not logged in
© Gift From Bengal. All rights reserved.
Developed by Onestop Website Solution
Reviews
There are no reviews yet